মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

>

মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করার উপায় কি শুধু উচ্চবিত্ত চাকরি বা বড় ব্যবসায়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ? একদমই না। বর্তমানে আপনার একটি স্মার্ট ফোন, একটু সৃজনশীলতা এবং সঠিক কৌশলই পারে একমাত্র এই লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে। 

মাসে-৫০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়

আজকের এই আর্টিকেল অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে স্থানীয় সেবা সমূহ, ই-কমার্স থেকে দক্ষতা বিক্রি করা পর্যন্ত দশটি প্রমাণিত ও বাস্তব সম্মত পদ্ধতি। যে গুলো অনুসরণ করে হাজারো মানুষ ইতিমধ্যেই মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন।

পেজ সূচিপত্রঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এটি শুধু একটি মানুষের স্বপ্ন নয়, এটি এমন একটি অর্জন যোগ্য পথ যা হাজারো মানুষ ইতিমধ্যেই বাস্তবে পরিণত করে ফেলেছে। আপনি চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী, গৃহিণী কিংবা বেকার যেই হোন না কেন, সঠিক কৌশল ও একটু অধ্যবসায় আপনার এই আর্থিক মাইলফলক স্পর্শ করা সম্ভব। এই আয়টি শুধু একটি উৎস থেকেই যে আসতে পারে এমনটা নয়। আবার একাধিক ছোট ছোট স্ট্রিমের সমষ্টি ও এটি হতে পারে। আপনার সময় দক্ষতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে একটি টেকসই আয়ের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন। 

সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি পথ হলো অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, কিওয়ার্ড রিসার্চ, কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত কোন দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে আপ ওয়ার্ক, ফাইবার ডট কম এর মতো প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ খুঁজে নিতে পারেন। শুরুতে আপনি প্রতি প্রোজেক্ট অনুযায়ী তিন হাজার থেকে ৫০০০ টাকা হারে কাজ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারেন। মাসে ১০-১২টি ছোট ছোট প্রজেক্ট করলেই আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

শুধু প্রয়োজন হবে একটি ভালো পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্ট এবং সময়ানুবর্তিতা। এছাড়াও আপনি নিজের একটি ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম শপ খুলে পণ্য বিক্রি শুরু করে দিতে পারেন। আপনি হয়তো এখন ভাবতে পারেন আমি এসব একাউন্টে কি পণ্য সেবা দিব? চিন্তা নেই আমরা সেটাও বলে দিচ্ছি আপনি কি পণ্য সেবা দিতে পারেন। আপনি এসব অ্যাকাউন্টে হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন, অথবা স্থানীয় হস্তশিল্প বা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করতে পারেন। ড্রপ শিপিং মডেলে আপনার নিজের ইনভেন্টরি রাখারও দরকার নেই। 

আরো পড়ুনঃ দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম

গ্রাহকের অর্ডার সরাসরি সাপ্লায়ার কে দিয়ে দেবেন। তারা গ্রাহকের ঠিকানায় পণ্য পাঠিয়ে দিবে। সঠিক মার্কেট রিসার্চ ও একটু ধৈর্য নিয়ে মাসে .১০-১৫ টি অর্ডার পেলেই আপনি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন। ইউটিউবে একটি শিক্ষামূলক ইন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল খুলে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারবেন। একটি ব্লক লিখে কিংবা টিক টক, ইনস্টাগ্রামের ভ্যালু এডিটিং, কনটেন্ট তৈরি করে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন। 

শুরুতে আয় নিয়ে চিন্তা না করে দর্শক তৈরিতে মন দিতে হবে। একবার ইভেন্ট অডিয়েন্স তৈরি হয়ে গেলে, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ বা গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। এটি সময়ের সাপেক্ষ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সবচেয়ে স্থিতিশীল একটি আয়ের উৎস। সর্বপ্রথম আপনার এলাকার চাহিদা খুঁজে বের করতে হবে। 

হতে পারে টিফিন সার্ভিস, বাড়ি অফিস ক্লিনিং সার্ভিস, পোশা প্রাণীর কেয়ার সেবা বা ইভেন্ট ডেকোরেশনের সহায়তা।প্রতিটি ক্লায়েন্ট থেকে মাসে ২০০০ থেকে ৪ হাজার টাকা চার্জ করে মাত্র ১২-১৫ ক্লায়েন্ট পেলেই আপনি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। স্থানীয় ব্যবসায় বিশ্বাসযোগ্যতা ও মানসম্মত সেবাই  সফলতার মূল চাবি কাঠি। অবশ্যই মনে রাখবেন মাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করার সফলতা নির্ভর করে আপনার ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা এবং দক্ষতার উপর। তাই ছোট থেকে শুরু করুন। 

গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার সেবার পরিধি বাড়ান। একই সাথে একাধিক আয়ের স্ক্রিন তৈরি করার চেষ্টা করুন। যাতে একটি উৎস সমস্যা হলে অন্যটি আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে। আজই একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। প্রথম পদক্ষেপটি গ্রহণ করুন এবং আপনার আর্থিক স্বাধীনতার যাত্রা শুরু করুন। এখন আপনার শুধু প্রয়োজন একটি সঠিক দিক নির্দেশনা এবং কাজে নামার সাহস।

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং হল সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী পথ গুলোর মধ্যে একটি। ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় স্বাধীনভাবে কোন কাজ করে আয় করাকে। যেখানে আপনি আপনার দক্ষতার বিনিময়ে ক্লাইন্টদের সেবা প্রদান করবেন। বাংলাদেশে হাজারো মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন। তার মধ্যে প্রথম ধাপ হলো আপনার সঠিক দক্ষতা চিহ্নিত করা। আপনি যদি লেখালেখিতে ভাল হয়ে থাকেন, তাহলে কনটেন্ট রাইটিং, কপিরাইটিং বা ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ নিতে পারেন। 

প্রতিটি আর্টিকেল বা প্রযুক্তির জন্য আপনি ২০০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। মাসে ১০ থেকে ১৫ টি আর্টিকেল রিকুয়েস্ট লিখে সহজেই আপনি মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। যদি আপনার ডিজাইনের উপর কোন দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য সোনার খনি। লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করে প্রতি ডিজাইনের জন্য ৩০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আরেকটি অপশন হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও প্রোগ্রামিং। 

এক্ষেত্রে দক্ষতা তুলনামূলক বেশি প্রয়োজন কিন্তু আয়ও খুব বেশি। একটি সাধারণ ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি ১৫০০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এখন ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন একটি উৎস। আপনি যদি এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা গুগল এডস পরিচালনা করতে জানেন, তাহলে মাসিক রিটেইনার বেসিসে কাজ পেতে পারেন। যেখানে আপনি প্রতি ক্লায়েন্টের কাছে থেকে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে আপনার প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র একটি ভালো পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্ট, একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল এবং আপনার ধৈর্য। আপ ওয়ার্ক, ফাইভার ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলে শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে কম দামে কিছু কাজ করে রেটিং ও রিভিউ সংগ্রহ করুন। তারপর ধীরে ধীরে আপনার রেট বাড়াতে থাকুন। মনে রাখবেন মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং সফল হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। 

কিন্তু একবার ক্লায়েন্ট বেস তৈরি হয়ে গেলে এটি একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস হয়ে উঠতে  পারে। নিয়মিত নতুন দক্ষতা শিখুন, সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখুন এবং ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। তাহলেই আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি আপনার দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততা বাড়িয়ে তুলুন। এটি শুধু আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর আয় বাড়াবে না, বরং আপনার জন্য ইনকামের সব থেকে কার্যকরী একটি উৎস হয়ে উঠবে।

ই কমার্স ও ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম 

ই-কমার্স ও ড্রপ শিপিং একটি আধুনিক এবং অত্যন্ত লাভজনক একটি ইনকামের পদ্ধতি। ই-কমার্সে কাজ করার আগে আমাকে এটা জানতে হবে যে, ই-কমার্স আসলে কি। ই-কমার্স বলতে আসলে বোঝায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা। এক কথায় আপনি অন্যের পণ্য বা নিজের পণ্য অনলাইনে যে কোন সেক্টরে বিক্রি করার মাধ্যমে যে আয় করে থাকেন তাকে ই-কমার্স বলে। আপনার নিজের কোন ফিজিক্যাল দোকান না থাকলেও আপনি একটি অনলাইন স্টোর খুলে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। প্রথম ধাপ হল পন্য নির্বাচন করা। 

আপনি আপনার স্থানীয় হস্তশিল্প পোশাক বা কোন বিশেষ পণ্য যা উৎপাদনে সহজ এবং পরিবহনযোগ্য তা দিয়ে শুরু করতে পারেন। দারাজ, ইবাই অথবা নিজের ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম শপের মাধ্যমে আপনি পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারেন। মাসে ৫০০০০ টাকা আয় এর জন্য এই মাধ্যমটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্য করি। ই-কমার্স এর সাফল্য পেতে হলে আপনাকে পণ্যের মান, সময়মতো ডেলিভারির উপর জোর দিতে হবে। ই কমার্সের পরেই আসে ড্রপ শিপিং। ড্রপ শিপিং হল ই-কমার্সের একটি বিশেষ মডেল। যেখানে আপনার নিজের ইনভেন্টরি রাখার প্রয়োজন হয় না। 

আপনি যখন একজন গ্রাহকের অর্ডার পান, তখন সরাসরি সাপ্লায়ার কে অর্ডার দেন এবং সাপ্লায়ার গ্রাহক এর ঠিকানায় পণ্য পাঠিয়ে দেন। এতে আপনার মূলধনের প্রয়োজন কমে যায় এবং ঝুঁকিও কম থাকে। আপনি স্থানীয় কোন হোলসেলার থেকে পণ্য নির্বাচন করে, আপনার মার্জিন যোগ করে বিক্রি করতে পারেন। ড্রপ শিপিং এর জন্য প্রয়োজন হল মার্কেট রিসার্জ, আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট ইমেজ এবং কার্যকরী ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও আপনি এমাজন, দারাজ এর মত বড় মার্কেট প্লেসে সেলার হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এসব প্লাটফর্মে ইতিমধ্যে বিপুল ভিজিটর রয়েছে। 

যা আপনার পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। চতুর্থ অপশন হল নিশ ভিত্তিক ব্যবসা। আপনি মাসিক সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে গ্রাহকদের নিয়মিত পণ্য ডেলিভারি দিতে পারেন। এই ব্যবসায় গ্রাহক ধরে রাখাটাই হলো আপনার সফলতার মূল চাবিকাঠি। ই-কমার্সে সফল হতে হলে আপনাকে প্রতিযোগী থেকে আলাদা হতে হবে, হয় দামে না হয় সেবায়। অথবা পণ্যের অনন্যতায়। ই কমার্সে আপনার সফলতার জন্য একমাত্র ধারাবাহিকতাও সবচেয়ে বড় সম্পদ। প্রতিটি গ্রাহককে সন্তুষ্ট করুন তারা আপনার ব্রান্ডের প্রচারক হয়ে উঠবে।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম 

কনটেন্ট ক্রিয়েশন ইনকামের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদী ও মর্যাদা সম্পূর্ণ পথ। আপনি যদি কোন বিষয়ে আগ্রহী বা দক্ষ হন তাহলে ইউটিউব ব্লগিং বা পটকাস্টের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করতে পারেন। প্রথমেই আসে ইউটিউব চ্যানেল শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক রিভিউ বা ব্লগিং। আপনি ভিডিও তৈরী করে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে মনিটাইজেশন চালু করতে পারেন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার জন্য ইউটিউব সফল হতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু একবার মনিটাইজেশন শুরু হলে এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের জন্য অন্যতম উৎস হয়ে উঠবে। 

আপনি আপনার আগ্রহের কোন বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ শুরু করুন। নিয়মিত মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে থাকুন এবং গুগল এডসেন্স বা এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে থাকুন। একটি সফল ব্লগ থেকে মাসে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি শর্ট কনটেন্ট প্রোডাক্ট রিভিউ বা নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আরেকটি অপশন হল পট কাস্টিং, অডিও কনটেন্ট দিন দিন সময়ের সঙ্গে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। 

আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সে সম্পর্কে পট কাস্ট রেকর্ড করে, স্পটিফাই, গুগল, ব্রডকাস্টে আপলোড করতে পারেন। পট কাস্ট মনিটাইজ করা যায় স্পন্সরশিপ স্রোতা অনুদান বা প্রিমিয়াম কন্টেন্টের মাধ্যমে। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা টিক টক এ একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। ১০ থেকে ২০ হাজার ইংগেস্ট ফলোয়ার থাকলে, আপনি ব্রাঞ্চ বা স্পনসর্ট পোস্ট পেতে শুরু করবেন। 

মাসে-৫০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার জন্য কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, একবার প্রচেষ্টা দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করলে তা দীর্ঘদিন আয় করতে থাকে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরির নিয়মিততা। শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি স্মার্টফোন, মৌলিক এডিটিং দক্ষতা এবং একটুখানি সাহস। প্রথম দিকে আয় নিয়ে চিন্তা না করে দর্শকদের জন্য ভালো কনটেনট তৈরি করতে মনোযোগ দিন। 

বিষয় বস্তুতে সত্যতা ও মূল্য বোধ রাখুন। সময়ের সাথে সাথে আপনার অডিয়েন্স তৈরি হবে। তখন মনিটাইজেশনের অপশন গুলো চলে আসবে। আপনি আপনার ইনকামের জন্য কনটেন্ট ক্রিয়েশন কে বেছে নিলে আপনি শুধু আয়ই করবেন না, একটি ব্যক্তিগত ব্রান্ডও গড়ে তুলতে পারবেন। যা ভবিষ্যতে আরো বেশি আয়ের সুযোগ তৈরি করবে। 

স্থানীয় সেবা ভিত্তিক ব্যবসা করার মাধ্যমে ইনকাম

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর মধ্যে আরেকটি নিশ্চিত পথ হবে স্থানীয় সেবা ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করা। প্রতিটি সম্প্রদায়ের কিছু না কিছু সেবা চাহিদা থাকে, যা পূরণ করা হয় না বা সঠিকভাবে করা হয় না। প্রথমেই আসে হোম ক্লিনিং সার্ভিস। শহুরে ব্যস্ত জীবনে অনেক পরিবারই থাকে যারা ঘর পরিষ্কার রাখার জন্য নির্ভরযোগ লোক খোঁজেন। আপনি একটি ছোট টিম গঠন করে ঘর অফিস বা যানবাহন পরিষ্কারের সেবা দিতে পারেন। 

এখান থেকে মাসে ২০০০ থেকে ৫ হাজার টাকা চার্জ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেংক পেলেই আপনি মাসে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী বা ছোটখাটো পার্টির জন্য লোকেরা প্রায়ই সাহায্য চায়। আপনি এই ধরনের ইভেন্ট প্ল্যান করতে পারেন, বার্থডে করসনের সামগ্রী ভাড়া দিতে পারেন। তৃতীয় অপশন হল পেট কেয়ার সার্ভিস। পোষা প্রাণীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, আপনি পোষা প্রাণীর গোসল, হাটা বা ডে কেয়ার সেবা দিতে পারেন। 

বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তির দেখাশোনার সেবা। অনেক পরিবারে বয়স্ক সদস্য থাকেন যারা সারাদিন একা থাকেন। আপনি তাদের নিয়মিত দেখাশোনা, ওষুধ দেওয়া বা হাসপাতালে নেওয়ার কাজটি করতে পারেন। শুরুতে আপনাকে প্রচারের জন্য স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপ পোস্টার বা তাদের মতে কথার উত্তর নির্ভর করতে হবে। আপনার সেবার মান ভালো রাখুন এবং নির্ভয় যোগ্যতা বজায় রাখুন। একজন সন্তুষ্ট গ্রাহক আরো ১০ জনের কাছে আপনার নাম প্রচার করবে। স্থানীয় সেবা ব্যবসায় সময়ানুবর্তিতা ও সততাই সবচেয়ে বড় মূলধন। 

আপনার এলাকার চাহিদা বিশ্লেষণ করুন, হতে পারে সেখানে ভালো কোচিং সেন্টারের অভাব বা ভালো টিফিন সার্ভিস এর অভাব। ছোট থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে বড় করুন। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় এর উপায় হিসেবে স্থানীয় সেবা ব্যবসা আপনাকে দ্রুত আয়ের পথ দেখাতে পারে। কারণ এর জন্য তেমন কোনো প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। আপনার শোরুম সময় ও সততাই এখানে বিনিয়োগ। একবার প্রতিষ্ঠা পেলে আপনি সেবার পরিধি বাড়াতে পারেন বা লোক নিয়োগ দিতে পারেন। এটি একটি টেক্সই ও সম্মানজনক উপায়।

শিক্ষা ও পরামর্শ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম

শিক্ষা ও পরামর্শ সেবা হল একটি পূর্ণ ও স্থিতিশীল ইনকামের পর আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বা দক্ষ হন তাহলে সেই জ্ঞানকে অর্থে রূপান্তর করা, আপনার জন্য সহজ হতে পারে। প্রথমেই আসে প্রাইভেট টিউশন, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কোন বিষয় আপনি পড়াতে পারেন তা নির্ধারণ করুন। প্রতি ছাত্রছাত্রী থেকে মাসে ৩০০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া যায়। ৬ থেকে ৮ জন ছাত্রছাত্রী পড়ালেই আপনি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলবেন। এখন অনলাইন টিউশনিও খুব জনপ্রিয়। 

যার মাধ্যমে আপনি দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন। আপনি যদি কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটোগ্রাফি বা ইংরেজি কথোপকথনে দক্ষ হন, তাহলে ছোট ছোট ব্যাচে ওয়ার্কশপ করতে পারেন। প্রতি ওয়ার্কশপে দশজন শিক্ষারথীকে নিয়ে ৩০০০ টাকা করে ফি নিলে এক ওয়ার্কশপে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আরেকটি অপশন হল ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও রেজমি তৈরির সেবা। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রেজুনি তৈরি, ইন্টারভিউ প্রিপারেশন বা কেরিয়ার গাইডেন্স দিয়ে আপনি প্রতি ক্লায়েন্ট থেকে ২০০০ থেকে ৫ হাজার টাকা চার্জ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস  

আপনি যদি কোন পেশাদার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হন, তাহলে পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে পারেন। ছোট ব্যবসায়ীরা প্রায়ই সঠিক পরামর্শের জন্য অর্থ ব্যয় করতে রাজি থাকে। শিক্ষা সেবা দেওয়া যে কোন সময় শুরু করা যায় এবং এর জন্য তেমন বিনিয়োগের কোন প্রয়োজন নেই। আপনার জ্ঞান ও যোগাযোগের দক্ষতা এখানে মূল বিনিয়োগ। শুরুতে আপনার নিজের একটি প্রোফাইল বা পোর্টফলিও তৈরি করুন। যেখানে আপনার যোগ্যতা অভিজ্ঞতার বিস্তারিত থাকবে। 

স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেসবুক গ্রুপ বা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার সেবার প্রচার করুন। প্রথম দিকে কিছুটা কম ফিতে কাজ নিয়ে রেফারেন্স তৈরি করুন। শিক্ষা সেবায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হল ফলাফল। আপনার ছাত্র বা ক্লায়েন্ট যেন সফল হয় তা নিশ্চিত করুন। তাদের সাফল্যই আপনার সবচেয়ে বড় বিপণন হাতিয়ার হবে। ইনকামের জন্য এই পথটি নিরাপদ, সম্মানজনক এবং দীর্ঘমেয়াদি অনেক বেশি আয়ের দরজা খুলে দিতে পারে ।

নিশ ও গ্রাহক সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ইনকাম

ইনকামের যতগুলোই উৎস আছে তার মধ্যে সবচেয়ে স্পেসিং মডেল গুলোর একটি হলো নিশ ব্যবসা বা গ্রাহক সাবস্ক্রিপশন মডেল। এই মডেলে আপনি গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক বা বার্ষিককে নিয়ে নির্দিষ্ট সেবা বা পণ্য নিয়মিত সরবরাহ করেন। প্রথম উদাহরণ হল মাসিক টিফিন বা খাবার প্যাকেজ। আপনি অফিস, গ্রামে পেশাজীবীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু লাঞ্চ বা ডিনার মাসিক প্যাকেটে সরবরাহ করতে পারেন। প্রতি গ্রাহক থেকে মাসে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা করে নিয়ে ১০-১৫ জন গ্রাহক করে আপনি মাসে ৫৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অনেক ব্যস্ত মানুষ বা পরিবার সাপ্তাহিক বা মাসিক গ্রো শাড়ি প্যাকেজ অর্ডার করতে চায়। আপনি একটি তালিকা তৈরি করে গ্রাহকদের পছন্দমত পণ্য বাসে করে এবং তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারেন। তৃতীয় অপশন হল বুক বা ম্যাগাজিন সাবস্ক্রিপশন। আপনি যদি বইপোকা হন, তাহলে মাসিক বই সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস দিতে পারেন। যেখানে গ্রাহকরা মাসে একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে একটি বাছাই করা বই পাবেন। হবি ভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন বক্স। যেমন মাসিক ক্রাফট বক্স, গার্ডেনিং বক্স বা টি কফি সেম পোলার বক্স।

মাসে-৫০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়

মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য নিশ ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম। আপনি আগেই জানতে পারবেন আপনার মাসিক আয় কত হবে। যা পরিকল্পনা করতে সুবিধা হয়। তবে এর জন্য প্রয়োজন একটি নির্ভরযোগ্য সাপ্লাই চেইন এবং সময় মত ডেলিভারির ব্যবস্থা। গ্রাহক ধরে রাখাই এখানে মূল চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ সাবস্ক্রিপশন যেকোনো সময় বাতিল করা যায়। তাই আপনাকে গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং প্রতিমাসে নতুনত্ব আনতে হবে। শুরুতে খুব অল্প সংখ্যক গ্রাহক নিয়ে রান করুন। 

সিস্টেম মাস্টার করুন, তারপর গ্রাহক সংখ্যা বাড়ান। পণ্যের গুণগত মান এবং সমায়ানুবর্তিতা অক্ষুন্ন রাখুন। গ্রাহকদের ফিডব্যাক গুরুত্বের সাথে নিন এবং সেই অনুযায়ী পরিবর্তন আনুন। তাহলে আপনি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। নিশ ব্যবসা একটি আধুনিক ধারণা যা শহরে ব্যস্ত জীবনের সাথে খুবই মানানসই। একবার গ্রাহক ভিত্তি তৈরি হয়ে গেলে এটি একটি স্বয়ংক্রিয় আয়ের মেশিনে পরিণত হতে পারে। যার রক্ষণাবেক্ষণ নেই আপনি আপনার সময় ব্যয় করবেন।

ক্ষুদ্র উৎপাদন ও হস্তশিল্পের মাধ্যমে ইনকাম 

ক্ষুদ্র উৎপাদন ও হস্তশিল্পের ব্যবসা একটি ঐতিহ্যবাহী। কিন্তু চির নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আপনার সৃজনশীলতা যদি উৎপাদনের দিকে থাকে, তাহলে এই পথ আপনার জন্যই। প্রথমেই আসে হ্যান্ড মেড সাবান ও প্রসাধনী তৈরি। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি সাবান, লোশন তৈরি করে অনলাইন বা স্থানীয় মার্কেটে বিক্রি করা যায়। প্রতি পিস ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে মাসে ১০০ থেকে ২০০ পিস বিক্রি করলেই আপনি প্রায় ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এছাড়াও হ্যান্ড মেড জুয়েলারি বা ফ্যাশন এক্সেসরিজ এর ভূমিকা অপরিসীম। স্থানীয় বা বিদেশি মালামাল দিয়ে অন্যান্য ডিজাইনের গহনা হেয়ার এক্সেসরিজ বা ব্যাক তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আরেকটি অপশন আছে যা হল হোম ডেকর আইটেম। মোমবাতি, টেরারিআম, ওয়াল আর্ট বা কাস্টমাইজ কুশন তৈরি করে বিক্রি করা যায়। এছাড়াও আচার, চাটনি, সস বা বিকল তৈরি করে সুন্দর প্যাকেটে বিক্রি করা যায়। হস্তশিল্প বাজার দিন দিন বেড়েই চলছে। কারণ মানুষ এখন একচেটিয়া ও হাতে তৈরি পণ্য বেশি পছন্দ করছে। 

শুরু করতে আপনার প্রয়োজন কিছু মৌলিক কাঁচামাল সরঞ্জাম এবং একটি কাজ করা জায়গা। প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করুন। পন্যের নমুনা তৈরি করুন এবং বাজারে গ্রহণযোগ্যতা পরীক্ষা করুন। ফেসবুক পেজ ইনস্টাগ্রাম বা স্থানীয় ক্রাফটয়ারে আপনার পণ্য উপস্থাপন করুন। পন্যের ফটোগ্রাফি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর ও আকর্ষণীয় ছবি বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এই ব্যবসায় মুনাফার হার অনেক বেশি। কারণ আপনি কাঁচামালের দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে হাতে তৈরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। আপনার ডিজাইনে অনন্নতা আনুন। 

বাজারে যা আছে তা কপি না করে নতুনত্ব দিন। গ্রাহকদের ফিডব্যাক শুনুন এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্যের ডিজাইন বা ভ্যারাইটি বাড়ান। ডিজাইন আনার চেষ্টা করুন যাতে গ্রাহকেরা আপনার পৃষ্ঠায় ফিরে আসে। গুণগত মানের ব্যাপারে কোন ছাড় দেবেন না। মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করার উপায় হিসেবে হস্তশিল্প ব্যবসা শুধু আর্থিক স্বাধীনতাই দেয় না, এটি একটি পরিপূর্ণতা ও অর্জনের অনুভূতি এনে দিতে পারে। যা অন্য অনেক পেশায় পাওয়া যায় না ।

এগ্রি বিজনেস ও হোম গার্ডেনিং এর মাধ্যমে ইনকাম 

কৃষি উদ্যানভিত্তিক ব্যবসা বা এগ্রি বিজনেস একটি স্বাস্থ্যকর ও টেকসই পছন্দ। শহর ও গ্রাম উভয় জায়গাতেই এই ব্যবসার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমে আসে ছাদ কৃষি বা টোরেস গার্ডেনিং। আপনি বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় টপ বা গ্রো ব্যাগ এ সবজি, ফল বা ওষুধি গাছ চাষ করতে পারেন। জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত শাক সবজি বা স্ট্রবেরির মত ফল স্থানীয়ভাবে বা অনলাইনে ভালো দামে বিক্রি করা যায়। এই সবজি বিক্রি অথবা ছাদ কৃষির পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করে। মাশরুম চাষের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না এবং এটি অল্প সময়ে ফলন দেয়। 

মাসে ২০ থেকে ৩০ কেজি মাশরুম উৎপাদন করেই আপনি ভাল আয় করতে পারেন। এছাড়াও আপনি অলংকার গাছ বা বোন শাক চাষ করে ইনকাম করতে পারবেন। শহরের ফ্ল্যাটে বাস করা মানুষরা ছোট ছোট সৌন্দর্য বর্ধক গাছ কিনতে পছন্দ করেন। হাইড্রোপনিক বা এরোপনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ ছাড়াই পানিতে বা কুয়াশায় সবজি চাষের এই পদ্ধতি গুলো শহরাঞ্চলে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং পণ্যের দামও পাওয়া যায়। এগ্রি বিজনেস শুরু করতে আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম

স্থানীয় কৃষি অফিস বা অনলাইন রিসার্চ থেকে এই জ্ঞান নেওয়া যায়। শুরুতে ছোট পরিসরে বিনিয়োগ শুরু করুন। সঞ্জয় করুন তারপর আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসাটিকে বড় করে তুলুন। আপনার পণ্যের বিপণনের জন্য স্থানীয় বাজার ফেসবুক গ্রুপ বা রেস্টুরেন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। জৈব বা নিরাপদ খাদ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, তাই আপনার পণ্যে সে বার্তা দিতে পারেন। 

এই ব্যবসার একটি বড় সুবিধা হল এটি পরিবেশবান্ধব এবং শারীরিক পরিশ্রমের সাথে জড়িত। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এগ্রি বিজনেস শুধু আর্থিক লাভই দেয় না, প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে কাজ করার একটি তৃপ্তিও দেয়। এছাড়া আপনি যদি জৈব সার বা কৃষি উপকরণ ব্যক্তির মাধ্যমে একবার উৎপাদন পদ্ধতি  রপ্ত করে ফেলেন এবং একটি নির্ভরযোগ্য বাজার তৈরি করতে পারলে এই ব্যবসা দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

শেষ কথাঃ মাসে ৫০ হাজার  টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৫০ হাজার  টাকা আয় করার উপায় নিয়ে এই বিস্তারিত আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে এটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, এই লক্ষ্য অর্জন করা শুধু সম্ভবই নয়। বরং এটি একটি অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় আর্থিক মাইলফলক। উপরে উল্লেখিত ১১ টি বিভাগ এবং তাদের মধ্যে থাকা অসংখ্য উপায় থেকে আপনি নিশ্চিতভাবে এমন একাধিক পথ খুঁজে পাবেন, যা আপনার জন্য উপযোগী। এই আর্থিক স্বাধীনতা, মানসিক শান্তি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ভিত্তিতে আপনি যে পথই বেছে নিন না কেন, মনে রাখবেন সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো শুরু করা, ধারাবাহিক থাকা এবং শেখা।

মনে রাখবেন আপনার এই ইনকামের লক্ষ্য বাস্তবায়নে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবে। কখনো গ্রাহক অসন্তুষ্ট হবে,  কখনো কাজ পাবেন না , কখনো আর্থিক সংকটে পড়বেন। কিন্তু হাল ছাড়বেন না প্রতিটি সমস্যায় আপনাকে আরো শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ করে তুলবে। প্রথমে প্রথম পদক্ষেপটি নির্ধারণ করুন এবং আজই সেটি বাস্তবায়ন শুরু করুন। প্রতিটি সফল মানুষ একদিন শুরু করেছিলেন সাধারণ অবস্থা থেকে। আপনার সময় এখনই আপনার দক্ষতা আপনার প্রচেষ্টা এবং আপনার দৃঢ় সংকল্পই পারে আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে, শুভকামনা আপনার এই অর্থবহ যাত্রার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url