মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল

 

আমাদের জীবনে চলার পথে প্রতিটি মুহূর্তে আমরা নিজেদের মাঝে লালন করি নানা স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা। জীবন যত এগিয়ে যায় আমাদের মাঝে লালন করা স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা ঠিক একইভাবে বারতে থাকে। যা আমরা নিজেদের মনের মধ্যে পুষে রাখি কখনো ভালো কর্মজীবন কিংবা পারিবারিক শান্তি। কখনো আবার তা হয় একটু শিক্ষা উচ্চ শিক্ষার।

মনের-আশা-পূরণের-দোয়া-ও-আমল

কিন্তু যখনই এসব আশা পূরণ হতে বিলম্ব হয়, তখনই আমরা খুঁজে ফিরি আধ্যাত্মিক সমাধান। মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলে আপনি পাবেন জীবন বদলে দেওয়ার মতো মূল্যবান কিছু উপায়। এখানে শুধু দোয়া কালামই নয় বরং রয়েছে সঠিক আমল ও বিশ্বাসের গভীর দর্শন। আপনার প্রতিটি আশাকে সত্যি করতে এই আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার নিকটতম সাথি।

পেজ সূচিপত্রঃ মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল

মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল

জীবনের পথ চলতে গিয়ে আমরা সকলেই কোন না কোন গভীর আসা-আকাঙ্ক্ষা বা লক্ষ মনে পুষে রাখি। কখনো তা হয় উচ্চশিক্ষা, কখনো বা চাকরি বাকরি, সুস্থতার, সন্তান লাভ, দেনমোহর থেকে মুক্তি, কিংবা পারিবারিক শান্তি। এই আশাগুলো আমাদের চলার পথের শক্তি যোগায়। কিন্তু যখনই সেই আশা পূরণ হতে দেরি হয়, তখনই আমাদের মনে মনে নানান ধরনের অস্থিরতা, চিন্তা, ডিপ্রেশন কাজ করে এবং হতাশার জন্ম নেয়। তখন আমরা খোঁজ শুরু করি এবং আধ্যাত্মিক সমাধানের দিকে অগ্রসর হই।

এই লেখাটি সেই সকল সন্ধানি মানুষের জন্যই। যারা বিশ্বাস করেন, যে দুনিয়ার সকল সাফল্যের মূল উৎস হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা এবং তার কাছে যথাযথভাবে তোমাদের চাওয়ার জন্য রয়েছে একটি সুন্দর পদ্ধতি। মহান আল্লাহ তার পবিত্র কুরআন শরীফে বলে দিয়েছেন যে, ইবাদতের মাধ্যমে যদি কোন বান্দা তার কাছে কিছু চায় তাহলে তিনি ফেরান না। এছাড়াও তিনি বান্দাদের মনের বিভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের কিছু আমল ও দোয়া নাযিল করে দিয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো

আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা স্রষ্টাকে একাগ্রতা এবং একনিষ্ঠতার সাথে বিশ্বাস করেন। মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া ও আমল কেবলমাত্র কিছু শব্দ উচ্চারণ বা রীতিনীতি পালনই নয়। বরং এটি হলো আল্লাহর সাথে বান্দার এক গভীর ও আন্তরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া। এখানে আমরা শুধু কিছু দোয়া কালামই শিখবো না। বরং সেই দোয়া ও আমল কিভাবে আমাদের জীবনকে ইতিবাচক ভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে, সেই দিক নির্দেশনাও বুঝতে চেষ্টা করব। আসুন শুরু করি এই পবিত্র যাত্রা।

আশা পূরণের জন্য আধ্যাত্মিকতার ভূমিকা

আমাদের অনেকেরই ধারণা যে শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই জীবনের সকল সফলতা অর্জন হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো পরিশ্রমের পাশাপাশি ঐশ্বরিক সাহায্য বা তাওফিকের প্রয়োজন হয়। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যাক। ধরেন, আপনি একটি নৌকায় করে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য খুব জোরে জোরে দাঁড় টানছেন। আপনার পরিশ্রম অবশ্যই জরুরি।

কিন্তু যদি নৌকার পালে অনুকূল বাতাস না লাগে, তখন আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় লেগে যাবে। অথবা ব্যর্থ হতে পারেন। এখানে অনুকূল বাতাসি হল সেই আধ্যাত্মিক তাওফিক। মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া ও আমল সেই অনুকূল বাতাস সৃষ্টির একটি মাধ্যম মাত্র। এটি আমাদের প্রচেষ্টাকে আল্লাহর রহমতের সাথে যুক্ত করে দেয়।

যখন আমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশিত পথে চলে দোয়া করি প্রার্থনা করি, তখন আমাদের প্রচেষ্টায় অতিরিক্ত শক্তি ও কার্যকারিতা আসে। এটি আমাদের হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। মনকে স্থির রাখে এবং সাফল্যের পথের সকল বাধা অতিক্রমে সাহস দেয়। আধ্যাত্মিকতা, যদি যথাযথভাবে বুঝে পালন করা হয় তবে তা আমাদের ব্যক্তিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। যা যে কোন কাজে সাফল্যের চাবিকাঠি।

মনের আশা পূরণের প্রাথমিক শর্ত

ইখলাস বা একনিষ্ঠতা যেকোনো ইবাদত বা আমল কবুল এর প্রথম ও প্রধান শর্ত হল ইখলাস বা একনিষ্ঠতা। অর্থাৎ আমরা যে আমলটি করলে তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করতে হবে। লোক দেখানো বা অন্য কোন জাগতিক আগ্রহের জন্য নয়। মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া ও আমলের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। যদি আপনি দুনিয়াবী লাভের জন্য আমল করেন আর আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দূর করার উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে আপনি আশানুর ফল নাও পেতে পারেন।

ইখলাস কিভাবে অর্জন করবেন? প্রথমত প্রতিটি আমল শুরু করুন বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে। মনে মনে স্পষ্টভাবে নিয়ত করুন যে হে আল্লাহ আমি শুধু তোমার জন্যই এই দোয়া বা আমলটি করছি। তুমি আমার মনও বাসনা পূরণ কর। লোকজনের সামনে নিজেকে জাহির করা থেকে বিরত থাকুন। এমন কি আপনার আমল যদি কেউ নাও দেখে যেন আপনি নিয়মিত ভাবে তা পালন করতে পারেন সেটাই হলো ইখলাসের পরিচয়। এক নিষ্ঠতার সাথে করা ছোট্ট একটি আমল লোক দেখানো আমলের চেয়ে আল্লাহর নিকট অন্যান্য আমলের চেয়ে বেশি মূল্যবান।

নিয়মিত নামাজের মাধ্যমে নৈকট্য আল্লাহর নৈকট্য অর্জন নামাজ হলো মুমিনের মিরাজ এটি আল্লাহর সাথে বান্দার সরাসরি যোগাযোগের সেতু বন্ধন মনের আশা পূরণ জন্য করার দোয়া ও আমল মূল ভিত্তি হল এই নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত ও যথাযথভাবে আদায় করলে বান্দার উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত নাযিল হয়। আপনার বিশেষ মনের আশা বা প্রয়োজন নিয়ে এখন নামাজে দাঁড়াবেন তখন সিজদায় গিয়ে সাথে আক কাছে চাইবেন নামাজ পরিত্যাগ করে শুধু দোয়া করলে তা পূর্ণ পারেনা নামাজি হলো সেই প্রস্তুতি যা আমাদেরকে দোয়াকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।

কুরআন তেলাওয়াত ও তাহাজ্জুদ নামাজের বিশেষ গুরুত্ব 

আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ হলো আল্লাহর বাণী।এটি শুধু পড়ার জন্যই নয় বরং বুঝে বুঝে তেলাওয়াত করলে এবং এর বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করলে তার সমগ্র জীবনে বরকতের দরজা খুলে দেয়। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করলে মানসিক প্রশান্তি আসে, দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায় এবং আল্লাহর রহমত বান্দার উপর নাযিল হয়। বিশেষ করে সুরা ইয়াসিন, সুরা ওয়াকিয়া ইত্যাদি পড়ার বিশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। এছাড়াও রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মধ্যে রয়েছে অপরিসীম বরকত। এ সময়টি এতই পবিত্র যে এটি সম্পূর্ণ ফজিলতপূর্ণ।

আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন কে আছো যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে দান করবো। কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করব। তাই যদি আপনার মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল এর জন্য আপনি  একটি শক্তিশালী সময় খুঁজে থাকেন, তাহলে তাহাজ্জুদ সময়টিকেই বেছে নিন। এ সময়ে করা দোয়া খুব কমই ফেরত যায়। বরং এ সময় করা প্রত্যেকটি দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। 

মনের-আশা-পূরণের-দোয়া-ও-আমল

মনের আশা পূরণের জন্য দোয়া ও ইস্তেগফারের গুরুত্ব

আমাদের জীবন চলার পথে কোনো না কোনো পাপ করে ফেলি। এগুলো পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য বা মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা অনেক দোয়া ও ইস্তেগফার নাজিল করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন যে, "যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে,আল্লাহ তার সকল সংকট থেকে উত্তরনের পথ বের করে দেবেন। সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন এবং অপ্রত্যাশিত উৎস থেকে, তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।

শুধু মুখে আস্তাগফিরুল্লাহ বলা কেই ইস্তেগফার বলে না। বরং তা গভীর অনুপাত এর সঙ্গে করতে হয়। সাইয়েদুল ইস্তেগফার নামে দোয়াটি প্রতিদিন নিয়মিত পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহুম্মা আমতা রাব্বি ইত্যাদি নিয়মিত ইস্তেগফার করলে মনে প্রশান্তি আসই, শরীর হালকা হয়, খুব নিষ্পাপ হৃদয়ের অধিকারী হয়। হৃদয় থেকে এই দোয়া পড়লে আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। তাই মনের আশা পূরণ হওয়ার দোয়া ও আমলের প্রতিদিনের লিস্টের শীর্ষে এখন এই ইস্তেগস্ফার কে রাখবেন। আগে নিজের  ভুলের জন্য ক্ষমা চান। তারপর আপনার প্রয়োজনগুলো তুলে ধরুন।

আরো পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো

সূরা ফাতিহা ও দরুদ শরীফের অফুরন্ত ফজিলত

সূরা ফাতিহাকে বলা হয় প্রশংসার মাতা বা উম্মুল কিতাব। এটি কুরআনের সারসংক্ষেপ মাত্র। যে কোন হালাল উদ্দেশ্য নিয়ে সুরা ফাতিহা পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন। এটি একটি শক্তিশালী দোয়া হিসেবে কাজ করে। বিশেষ কোনো সমস্যা বা আশা পূরণের জন্য ৪১, ১০১ বা ১২৫ বার সুরা ফাতেহা প্রচলন রয়েছে। নিয়মিত এই সূরা ফাতিহা পড়ার মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে। তবে যে কোন সংখ্যায় নিয়মিত পড়লেই এর ফলাফল পাওয়া যায়।

অন্যদিকে দরুদ শরীফ হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উপর রহমত প্রেরণ করে। একটি দরুদ পাঠ করে যে দোয়া করা হয় আল্লাহ তা কবুল করেন এবং দরুদ পাঠকারীর জন্য দশটি রহমত নাযিল করেন। রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবে।( সহীহ মুসলিম) দরুদ হল এমন একটি আমল যা দোয়া কবুলের জন্য খুবই কঠোরভাবে কাজ করে। আপনার মনের আশা পূরণ করার জন্য দোয়া ও আমলের আগে পরে বেশি বেশি দরুদ করবেন। এটি আপনার দোয়াকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। 

হালাল রিজিক ও সদকার মাধ্যমে বরকত লাভ 

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র এবং মন থেকে করা দোয়া শুধু কবুল করেন। তাই মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল তখনই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যখন আপনার আয়, খাদ্দ, জীবনযাপন হবে সম্পূর্ণ হালাল। হারাম আয় বা খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উপর কোন বরকত থাকে না এবং তা দোয়া কবুলে আরো ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাই প্রথম গুরুত্ব হবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে হালাল উপার্জন নিশ্চিত করা। এরপর আসবে দান সদকা এবং হালাল রিজিক এর মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করা। সদকা আল্লাহর রাস্তা কে সহজ করে। আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করে।

ইসলাম বলেছেন দান সদকা আল্লার পথ কে প্রশমিত করে, মন্দ পরিণতি দূর করে। (তিরমিজি) আপনি যদি চান আপনার অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হোক, যেকোনো বিশেষ ইচ্ছা পূরণ হোক, তাহলে আপনাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। ছোট ছোট সদকা একদিন বিশাল আকারে ধারণ করতে পারে। আপনি আল্লাহর পথে সদকা বা দান করুন, ভবিষ্যতে এটি দ্বিগুণ হয়ে আপনার কাছে ফিরে আসবে।আপনি আল্লার বান্দাদের দান করবেন। আর আল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবেন। এটি প্রমাণিত একটি নিয়ম। 

ধৈর্য ও তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে মনের আশা পূরণ করা

আমরা অনেক সময় দোয়া করার পরপরই ফলাফল আশা করি। কিন্তু আল্লাহর সময় এবং আমাদের সময় এক নয়। আল্লাহ জানেন যে, কখন তার বান্দাদের জন্য ভালো হবে। তিনি যখন আমাদের জন্য কোন একটি আশা-আকাঙ্ক্ষা ভালো মনে করবেন, ঠিক তখনই তিনি আমাদের সেটা দিয়ে দিবেন। তাই মনের আশা পূরণ জন্য করার দোয়া ও আমলের পর গুরুত্বপূর্ণ হলো ধৈর্য ধারণ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন ধৈর্য ধারণকারীদের অগণিত পুরস্কার দেওয়া হবে। (সুরা জুমার ১০)

ধৈর্যের সাথে তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাওয়াক্কুল ছাড়া আল্লাহর বিশ্বাস অর্জন করা যায় না। তাওয়াক্কুল মানে এই নয় যে, আপনি বসে থাকবেন এবং আল্লাহ সব করে দেবেন। আপনি আল্লাহর দোয়া কালাম করবেন এবং আল্লাহ আপনাকে খুবই ভালো একটি ফলাফল দেবেন। তাওয়াক্কুল  আপনার মনের আশা পূরণ করার জন্য কাজ করবে। আল্লাহর বিশ্বাস অর্জনের একমাত্র চাবিকাঠি ধৈর্য্য। ইবাদত এটি আপনাকে হতাশা থেকে রক্ষা করবে এবং আল্লাহর পরিকল্পনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে ভরসা দিবে।

আরো পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো 

বিশেষ কিছু প্রমাণিত দোয়া ও আমল 

ইতিহাস ও বিভিন্ন গ্রন্থে কিছু বিশেষ দোয়া ও আমল এর কথা উল্লেখ আছে। মনের আশা পূরণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বা প্রমাণিত বলে বিবেচিত হয়। যেমন দোয়া ইউনুস বিপদ আপদ ও কষ্টের সময় এই দোয়াটি পড়লে খুবই শক্তিশালী কাজ করে। লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। (সূরা আম্বিয়া ৮৭) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়তাল কুরসি পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত

আল্লাহ বান্দাদেরকে বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে থাকেন এবং রিজিক বাড়াতে থাকেন। সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস এই তিন কুল সূরা বান্দাদের বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে। এই ৩ কূল সূরার ফজিলত অনেক বেশি। বান্দাদের আয়ের উপর রহমত বর্ষিত হয়। অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। 

তাসবি, সূরা ফাতেমা, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এবং আল্লাহু আকবার। এগুলো ৩৩ বার করে তাসবি করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং এগুলো করে আল্লাহর কাছে দোয়ার মাধ্যমে যা চাওয়া যায় আল্লাহ তাই দেন। এইগুলো পাঠের মাধ্যমে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা যায়। এই আমলগুলো নিয়মিত করতে থাকলে আপনার মনের আশা পূরণ করা খুব সহজ হয়ে যাবে।

মনের-আশা-পূরণের-দোয়া-ও-আমল

শেষ কথাঃ মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল 

মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল কোন ম্যাজিক বা সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাবে এমনটা নয়। বরং এটি হলো আল্লাহ তাআলার সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যম মাত্র। আল্লাহ তায়ালার নাযিল করা কুরআন শরীফে বিশেষ কিছু দোয়া ও আমল এর কথা বলা আছে। এগুলো ইবাদতের সঙ্গে পালন করলে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট অর্জন করা যায় এবং সেই সঙ্গে মনের আশা পূরণ করার দোয়া ও আমল সম্পর্কে জানা যায়। যখন আপনি আল্লাহতালার নৈকট্য লাভের আশায় তাকে সন্তুষ্ট লাভের নিয়ত নিয়ে আমল করবেন। তখন শুধু আপনার শেষ কিছু ইচ্ছাই পূরণ হবে না।

বরং আপনার সমগ্র জীবনেই আপনি আল্লার নৈকট্যের একটি নিয়মিত বরকতময় জীবন অনুভব করবেন। মনে রাখবেন আল্লাহ তার বান্দার দোয়া খুবই পছন্দ করেন। আপনার আমলে নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখুন আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন, আস্থা রাখুন এবং ধৈর্য রাখুন। তিনি জানেন কখন আপনার জন্য কি প্রয়োজন। এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় আপনাকে আল্লাহর সাহায্য, বরকত লাভ করার তৌফিক দান করুক এই দোয়াই করি। আপনার যাত্রা শুভ হোক। আর আপনার এই যাত্রার একমাত্র সঙ্গী হল বিশেষ কিছু দোয়া ও আমল এবং এবাদত করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি গিগস্পারকলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url