তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া অনেকের কাছে বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে মশ্চারাইজারের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করতে পারাই হল তৈলাক্ত ত্বকের সুস্থতা ও সৌন্দর্যের মূল চাবিকাঠি। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-ময়েশ্চারাইজার-ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো এবং কেন এটি আপনার ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানাবো কিভাবে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণের সমস্যা রোধ করে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক পণ্য নির্বাচনের সম্পূর্ণ দিক নির্দেশনা পাবেন আজকের এই আর্টিকেলে। তৈলাক্ত ত্বকের সঠিক যত্ন সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে পড়তে থাকুন আমাদের এই দিকনির্দেশনাটি।

পেজ সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো

তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে এটি জন্য ময়েশ্চারাইজারের কোন প্রয়োজন নেই কিন্তু বাস্তবতা হল তৈলাক্ত ত্বকেরও যথাযথ আদ্রতার প্রয়োজন রয়েছে সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করা তথ্য ত্বকের যত্নের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি  ভালো এবং কিভাবে এটি আপনার ত্বকের জন্য সর্বোত্তম পছন্দ হতে পারে

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করা অতি সূক্ষ্ম একটি বিষয়। ভুল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে উঠতে পারে। কিংবা ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ত্বকে আরো বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই আর্টিকেলে আমরা শুধু ভালো ময়েশ্চারাইজারের তালিকাই দেব না,

বরং বুঝাবো কেন সেগুলো কার্যকরী এবং কিভাবে আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তারা প্রায়শই মশ্চারাইজার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। আসলে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তৈলাক্ততা কমে যায়। আমরা এই আর্টিকেলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিব।

আরো পরুনঃ মেছতার জন্য কোন সিরাম ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কেন ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন

তৈলাক্ত ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই বেশি সিরাম উৎপাদন করে। কিন্তু এটি প্রায়ই ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতায় ভুগতে থাকে। অনেকেই মনে করেন যে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা, বরং সঠিক ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখন তৈলাক্ত ত্বক ডিহাইড্রেট হয়, তখন এটি আরও বেশি তেল উৎপাদন করে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে।

এই চক্রটি ভাঙ্গার একমাত্র উপায় হল হালকা ও নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো তা বোঝার প্রথম ধাপ হলো, এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া। তৈলাক্ত ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। যখন ত্বক পর্যাপ্ত ভাবে হাইড্রেটেড থাকে তখন তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশগত ক্ষতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

এটি ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াও ধীর করে দেয়।ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে তৈলাক্ত ত্বকও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে বিশেষ করে এসি বা হিটারের সামনে থাকলে। এই শুষ্কতা ত্বককে আরো বেশি তৈলাক্ত বা তেল উৎপাদন করতে বাধ্য করে। তাই নিয়মিত সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ত্বকের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার নির্বাচনের মূল নীতিমালা

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা দরকার। সর্বপ্রথম যে বিষয়টি অনুসরণ করতে হবে বা খেয়াল করতে হবে তা হলো ময়েশ্চারাইজার যেন নন কমেডোজেনিক হয়। অর্থাৎ এটি যেন আমাদের ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ না করে। এ ধরনের ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড সৃষ্টি করে না। দ্বিতীয়ত, ময়েশ্চারাইজারটি ওয়াটার বেসড বা জলভিত্তিক হওয়া উচিত ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার ত্বকে হালকা অনুভব হয় এবং দ্রুত শোষিত হয়।

তৃতীয়ত,ময়েশ্চারাইজারের সেলিসিলিক অ্যাসিড,নিয়াসিনামাইড বা হায়ালুরনিক এসিড এর মত উৎপাদন থাকলে তা অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণের সহায়তা হয় করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো তা নির্ধারণ করতে এই নীতিমালাগুলো জানা অপরিহার্য। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার নির্বাচনের সময় পণ্যের টেস্কচার এবং কনসিসটেন্সি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলবেসড বা লোশন টাইপের মশ্চারাইজার সাধারণত ত্বকের জন্য বেশি উপযোগী হয়ে থাকদ। সমৃদ্ধ টেক্সচার যুক্ত ময়শ্চেরাইজার এড়িয়ে চলাই ভালো।

জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার এর সুবিধা সমূহ

জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার হালকা টেক্সচারের হয় এবং ত্বকে কোন চর্বিযুক্ত বা ভারী অনুভূতি ছাড়াই দ্রুত সতেজ হয়। জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার সাধারণত ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার এ ত্বককে আর্দ্র রাখে কোন প্রকার ছিদ্র বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া।

অনেক জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার এ অ্যালোভেরা, হায়ালুরনিক এসিড, গ্রিন টি এক্সট্রাক্ট এর মত উপাদান থাকে। যা ত্বককে শান্ত করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো, এই প্রশ্নের উত্তরে জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার একটি শীর্ষ স্থানীয় বিকল্প। জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার এর একটি বড় সুবিধা হল এটি ত্বককে ম্যাড ফিনিশ প্রদাহ করে।

এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে একটি প্রাকৃতিক রূপ দেয়। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার মেকাপের নিচে ভালোভাবে কাজ করে এবং মেকআপ কে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। গরম ও আদ্র আবহাওয়া জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার বিশেষভাবে কার্যকরী। কারণ এতে ত্বকে ভারী অনুভূতি তৈরি করে না। এটি ত্বকে সতেজতা বজায় রাখে এবং অতিরিক্ত চকচকে ভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-ময়েশ্চারাইজার-ভালো

ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার এর কার্যকারিতা

ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আরেকটি চমৎকার পণ্য। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার এর প্রধান উপাদান হিসেবে জল ব্যবহার করে। যা ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে অতিরিক্ত তেল যোগ ছাড়া। ওয়াটার বেস্ট মশ্চারাইজার সাধারণত নন গ্রিজি ফর্মুলাযুক্ত হয়। যা ত্বকে মসৃণ ও কমল করে। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের একটি বড় সুবিধা হলো খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত উৎপাদন কে ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো তা বিবেচনা করার সময় ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হিসেবে গণ্য হতে পারে। ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি পণ্য এবং প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য এটি সবথেকে ভালো। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক হাইড্রেশন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে কোন প্রকার ক্ষতিকর দিক ছাড়াই।

এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার সাধারণত হাইপো অ্যালার্জেনিক হয় যা সমবেদনা ত্বকের জন্য উপকারী। এই ময়েশ্চারাইজার গুলোতে সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। যেমন গোলাপজল, এলোভেরা যা ত্বককে স্মুথ করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের লাল ভাব দূর করতে এবং ড্রাইনেস কমাতে সাহায্য করে। এই কারণে একে অনেক ডার্মাটোলজিসট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা ত্বকের জন্য ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেন।

আরো পরুনঃ মেছতার জন্য কোন সিরাম ভালো

নন কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার এর গুরুত্ব

নন কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি অপরিহার্য প্রয়োজন। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার বিশেষভাবে ফর্মুলেটেড হয় রন্দ্র বন্ধ না করার জন্য। নন-কমে ডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার সাধারণত তেল মুক্ত হয় এবং হালকা টেক্সচার হয়। এই ময়েশ্চারাইজারগুলোতে এমন উপাদান ব্যবহার করা হয় যার কারণে ত্বকের ছিদ্র জমা হয় না এবং ব্রণ সৃষ্টি করে না। কিছু সাধারণ নন কমেডো জেনিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ডাইমেটিকোন এবং শিয়া বাটার।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় নন কমেডো জেনিক বৈশিষ্ট্যকে অগ্রাধিকার সবার আগে দেওয়া উচিত। নন কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার শুধু ব্রণ প্রতিরোধ করেনা বরং এটি এলার্জিক সমস্যা সমাধানেও সহায়তা করে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলোকে মুক্ত রাখে এবং ব্ল্যাকহেড ও হোয়াইটহেড গুলোকে সামঞ্জস্য রাখে। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর থাকে।

ময়েশ্চারাইজার এ কোন উপাদান গুলো খুজবেন

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করার সময় কিছু স্পেসিফিক উপাদানের দিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হায়ালুরনিক এসিড একটি এক্সিলেন্ট উপাদান। যা ত্বককে হাইড্রেট করে তৈলাক্ত অনুভূতি ছাড়া। নিয়াসিনামাইড ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ত্বকের ছিদ্রগুলোকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। একটি বিটা হাইড্রক্সি এসিড যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ছিদ্রগুলো পরিষ্কার রাখে।

গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ইনফ্লামেশন বা ফোলা ভাব কমায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো তা নির্ধারণ করতে এই উপাদানগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। হায়ালুরনিক এসিড ত্বকের জন্য একটি ম্যাজিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের গভীর স্তরে আদ্রতা বহন করতে পারে কোন প্রকার তৈলাক্ত ভাব ছাড়া। এই উপাদানটি ত্বক কে সজিব রাখতে এবং প্রাকৃতিক লুক দিতে সাহায্য করে।

ময়েশ্চারাইজার নির্বাচনে যে উপাদান গুলো এড়িয়ে চলবেন

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করার সময় কিছু উপাদান আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। ভারি তেল যেমন মিনারেল অয়েল, কোকোনাট অয়েল বা কোকা বাটার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পারফেক্ট না। কারণ এগুলো ত্বকের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করতে পারে। সুগন্ধিযুক্ত ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এগুলোতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। সিলিকন ভিত্তিক উপাদান যেমন ডিমেথিকন কিছু ত্বকের জন্য পারফেক্ট হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এগুলো ছিদ্র বন্ধ করার মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যালকোহলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে। যা একচুয়ালি তেল উৎপাদন  বাড়াতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো তা বেছে নেওয়ার সময় এই উপদানগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকুন। মিনারেল অয়েল এবং পেট্রোলিয়াম উপাদান যুক্ত বিশেষ ভাবে সমস্যা হতে পারে ত্বকের জন্য। এগুলো ত্বকের ছিদ্রগুলোতে একটি লেয়ার তৈরি করে যা আমাদের ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। এই ধরনের উপাদান থাকলে ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে চলাই ভালো।

সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজারের উপকারিতা

তৈলক্ত ত্বকের জন্য এসপিএফ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার একটি প্রাকটিক্যাল পছন্দ। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার এর দুটি কাজ একসাথে করে ত্বককে আদ্র রাখার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে প্রটেক্ট করে বা রক্ষা করে। তৈলাক্ত ত্বক বেশি ঘনত্ব এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির  মাধ্যমে ত্বকের বেশি ক্ষতি করে। তাই নিয়মিত এসপিএফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অপরিহার্য।

এসপিএফ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করার সময় তৈলাক্তমুক্ত এবং নন-কমিডোজেনিক ফর্মুলা যুক্ত পণ্য বেছে নিন। অনেক মডান বা আধুনিক এসপিএফ মশ্চারাইজার এখন লাইট ওয়েট ফর্মুলা যুক্ত হয়। যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সহনশীল। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো এই কনসিডারেশনে এসপিএফ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার একটি স্মার্ট পন্থা।

এসপিএফ সম্মিলিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে সুবিধা হল এটি স্কিন কেয়ার রুটিন কে সাধারণ করে। আপনাকে আলাদা কর ময়েশ্চারাইজার এবং সান্স্ক্রিম ব্যবহার করতে হয় না। এটি সময় বাচায় এবং আপনার বিজি লাইফ স্টাইল কে সহজ করে দেয়। এটি ত্বকের জন্য একটি কমপ্লিট সলুশন হিসেবে কাজ করে।

তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-ময়েশ্চারাইজার-ভালো

ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগের সঠিক নিয়ম

তৈলাক্ত ত্বকের ্ন্যবক ময়েশ্চারাইজার সঠিকভাবে এপ্লাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। তারপর টোনার ব্যবহার করুন। এরপর একটি মুদ্রার সাইজের সমপরিমাণ ময়েশ্চারাইজার নিয়ে ত্বকে আলতোভাবে মেসেজ করে ব্যবহার করুন। বিশেষভাবে টিজন কপাল, নাক এবং চোয়াল এইসব জায়গায় ভালোভাবে প্রয়োগ করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় বৃত্তাকার ভাবে ধীরে ধীরে মেসেজ করে ব্যবহার করুন।

এই নিয়মে ব্যবহার করলে ময়েশ্চারাইজার সবথেকে ভালো ভাবে শোষিত হতে সাহায্য করে। দিনে দুইবার সকালে এবং রাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো তা জানার পাশাপাশি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করার পদ্ধতি জানা গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ড্রাই রাখতে হবে। কারণ এটি হাইড্রেশন লক করতে সাহায্য করে।

পরিষ্কার হাত দিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং ড্যাব ড্যাব করে দিন এবং শোষিত হতে দিন। হার্ষ ডাবিং করা এড়িয়ে চলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করুন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক ভারী হতে পারে। তাই খুব অল্প পরিমানে ব্যবহার করা শুরু করুন এবং আপনার ত্বককে সুস্থ রাখুন।

আরো পরুনঃ মেছতার জন্য কোন সিরাম ভালো

শেষ কথাঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো

আপনার সঠিক পছন্দ আপনার ত্বকের সজীবতা ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজারটি ভালো এ প্রশ্নের জন্য কোন একটি মাত্র উত্তর নেই। আপনার ত্বকের জন্য আসলে কোনটা প্রয়োজন এবং আপনার ত্বকের উপর ভিত্তি করে সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রথমে যাচাই করুন এবং নির্বাচন করুন আপনার ত্বকের জন্য ভালো কাজ করে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার।

মনে রাখবেন তৈলাক্ত ত্বকের হাইড্রেশনের প্রয়োজন আছে। সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করে আপনি আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মেইনটেইন করতে পারবেন এবং স্বাস্থ্যকর ও  উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো এই যাত্রাতে আপনার ত্বকই হবে আপনার একমাত্র সঙ্গী। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে নিয়মিত সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের উন্নতির লক্ষ্য করা যায়। ধৈর্য রাখুন কারণ ত্বকের পরিবর্তন হতে কিছু সময় লাগতে পারে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি গিগস্পারকলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url