২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম এই বিষয়টি বর্তমান সময়ে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং চর্চিত বিষয়। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিশেষ করে ফেসবুক ইউটিউব এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের দাবি আপনি প্রায়ই দেখতে পাবেন। অনেকেই লোভনীয় অংকের প্রলোভন দেখিয়ে বলেন যে মাত্র ২০ টাকা ইনভেস্ট বা ডিপোজিট করলে আপনি হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
কিন্তু বাস্তবতা কি এই দাবিগুলোর পিছনে সত্যতা কতটুকু? নাকি এটি শুধু কিছু অসাধু ব্যক্তির ফাঁদ! আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব এই বিষয়টির প্রতিটি দিক। যাতে আপনি সচেতন হতে পারেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মনে রাখবেন রাতারাতি ধনী হওয়ার কোন শর্টকাট পথ খুব কমই থাকে। আর যদি থাকে সেগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসাধু। তাহলে চলুন আলোচনাটি শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
-
২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
-
কিভাবে প্রতারণার মডেল গুলো কাজ করে
-
বৈধ প্লাটফর্মে ক্ষুদ্র ডিপোজিট করে ইনকাম
-
রেফারেল বা রিক্রুট ভিত্তিক স্কিম
-
সাইবার নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা
-
আর্থিক সাক্ষরতা বা ফিনান্সিয়াল লিটারেসির অপরিহার্যতা
-
আইনি দিক ও প্রতিকার প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকুন
-
বিকল্প বৈধ আয়ের টেকসই ও নিরাপদ উপায়
-
দায়িত্বশীল ভিত্তিক ডিজিটাল নাগরিকত্ব
-
স্বল্প বিনিয়োগ এর মাধ্যমে আয় শুরু করুন
-
শেষ কথাঃ ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম এই ধরনের অফার গুলো আমাদের মনের গভীরে থাকা কিছু মানসিক প্রবৃত্তিকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। যার ফলে আমরা অনেক সময় যুক্তি ও বিচার বুদ্ধি হারিয়ে ফেলি। প্রথম এবং প্রধান মনস্তাত্ত্বিক ফাঁদটি হল ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মোহ। আমাদের মস্তিষ্ক বিশ টাকা কে খুব নগণ্য ও ঝুঁকিহীন একটি অংক হিসেবে মূল্যায়ন করে। এই সামান্য টাকা হারানোর ভয় আমাদের খুবই কম থাকে। কিন্তু এর বিনিময়ে যা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তার আকর্ষণ অত্যন্ত প্রবল।
এই কম ঝুঁকিতে উচ্চ পুরস্কারের গণিত আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে আবেগ দ্বারা প্রভাবিত করে। দ্বিতীয় ফাঁদটি হলো সুযোগ হারানোর ভয়। এই ধরনের অফার গুলো সাধারণত সময় সীমাবদ্ধ বা শীঘ্রই রেজিস্ট্রেশন বন্ধ এমন বার্তা দিয়ে প্রচার করা হয়। এটা আমাদের মনে এই চাপ তৈরি করে যে, যদি এখনই কাজ না করা হয় তবে এই জীবনে সুযোগটি চিরতরে হাতছাড়া হয়ে যাবে। এই কারণে আমরা সতর্কতা ও যাচাই-বাছাই করার সময় না নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
বিশ টাকা ডিপোজিট করে ইনকামের অফারের অংশ নেওয়া অনেকের কাছেই মনে হয়, একটি ছোট টিকিট কিনে বিশাল লটারি জেতার মত। যা মনস্তাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত প্রলুব্ধ কর। তৃতীয়ত কাজ করে সাভাবিক প্রমাণ ও বিশ্বস্ততার ছদ্মবেশ তৈরি করা হয়। স্ক্যামেররা তাদের ওয়েবসাইটে বা গ্রুপে ভুয়া সাকসেস স্টোরি পেমেন্ট প্রুফ এবং ভুয়া ব্যবহারকারীর রিভিউ কমেন্টের ছবি পোস্ট করে। তারা এমন কিছু ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করতে পারে যারা সাধারণ মানুষের মতো দেখতে। এমনকি কখনো কখনো সেলিব্রেটিদের ছবিও ব্যবহার করে।
যখন আমরা দেখি যে আমিনুল ইসলাম বা সুমি আক্তার এর মত সাধারণ নামের মানুষগুলো ২০ টাকা ডিপোজিট করে লাখ টাকা কামিয়েছে বলে দাবি করছে। তখন আমাদের মনে একটি মিথ্যা বিশ্বাস জন্ম নেয় যে, এই সুযোগটি সত্যিই কাজ করে চতুর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক দিকটি হলো জটিলতাকে সরল হিসেবে উপস্থাপন। ২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকাম করার প্রচারে বলা হয় কাজটি অত্যন্ত সহজ। শুধু রেজিস্ট্রেশন করুন, বিশ টাকা পাঠান, কিছু লিংক শেয়ার করুন এবং টাকা আয় করুন।
এই সরলীকরণ আমাদের মস্তিষ্ককে বোঝায় যে প্রচেষ্টা খুবই কম, কিন্তু ফলাফল বিশাল।
আমাদের মস্তিষ্কের সহজ পথ পছন্দ করে। বিশেষ করে যখন অর্থের বিষয়ে আসে। এই সরলতার
আবরণে আসলে যে জটিল ও প্রতারণামূলক সিস্টেম লুকিয়ে থাকে, তা বোঝার আগে আমরা
জড়িয়ে পড়ি। এই মনস্তাত্ত্বিক ফাঁদগুলো বুঝতে পারলেই আমরা ২০ টাকা ডিপোজিট এর
মাধ্যমে ইনকাম করার মতো অফার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবো।
কিভাবে প্রতারণার মডেল গুলো কাজ করে
ফেসবুক মেসেঞ্জারে যেসব প্রতারণার মডেল ব্যাপকভাবে প্রচলিত। সেগুলোর কার্য পদ্ধতি জানার প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য জরুরী। প্রথম এবং সবচেয়ে সাধারণ মডেলটি হল মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা চেইন সিস্টেমের ছদ্মবেশ। এই স্ক্রিনে আপনাকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ বা ফেসবুক পেজে আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেখানে বলা হয় যে মাত্র ২০ থেকে ৫০ বা ১০০ টাকা একটি বিকাশ নগদ রকেট নম্বরে পাঠালে আপনি একটি ওয়ার্ড প্যানেল বা এডমিন প্যানেল পাবেন। যেখান থেকে আপনাকে কিছু লিংক বা পোস্ট শেয়ার করতে হবে।
প্রতিটি রেফারেল বা নতুন সদস্য আমন্ত্রণের জন্য আপনাকে অনেক টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই সিস্টেমটি কিভাবে টাকা আয় করে যখন আপনি ২০ টাকা দিয়ে ডিপোজিট করবেন। সেই টাকা সরাসরি স্ক্যামারদের পকেটে যায়। আপনাকে যে কাজ করতে বলা হয় তা আসলে স্ক্যামারদের গ্রুপ বা পেজকে প্রমোট করার কাজ। অর্থাৎ আপনি নিজের টাকা দিয়ে তাদের প্রচার কাজ করছেন। আর নতুন মানুষকে আকর্ষণ করে তাদেরও একই ফাঁদে ফেলছেন। এই চক্রটি তখনই পর্যন্ত চলতে পারে যতক্ষণ না নতুন সদস্য আসছে।
যখন নতুন সদস্য আসা বন্ধ হয়ে যায় সিস্টেমটিতে ধ্বস পড়ে এবং শেষ দিকে যারা যুক্ত হন তারা তাদের টাকা ফেরত পান না। এটি একটি ক্লাসিক পুঞ্জি বা পুঞ্জি স্ক্রিন যার সম্পূর্ণ অবৈধ দ্বিতীয় মডেলটি হল ফেক গেমিং বা লটারি অ্যাপ। এখানে বলা হয় যে একটি গেম বা লটারি অ্যাপে মাত্র ২০ টাকা রিচার্জ করলে আপনি অনেক গেম খেলতে পারবেন এবং সেখান থেকে বড় অংকের টাকা উইথড্রো করতে পারবেন। অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর দেখা যায় প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা বা বোনাস দেওয়া হয় এবং খুব সহজেই কিছু টাকা জেতা যায়।
কিন্তু যখন আপনি সেদ্ধ গুলো উত্তোলন করতে যাবেন তখন বেশ কিছু শর্ত আসে। যে আপনাকে এটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। অথবা আরও টাকা রিচার্জ করতে হবে। ২০ টাকা ডিপোজিট করে আয় শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত আপনাকে শত শত বা হাজার হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে বাধ্য করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উৎপাদনের সময় একটি কাজ করে না বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৃতীয় মডেলটি হল ফেক সার্ভে বা ক্লিক বেসড সাইট।
কিছু ওয়েবসাইট দাবি করে যে আপনি যদি ২০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন ফি দেন, তাহলে আপনি অসংখ্য সার্ভিস পাবেন এবং প্রতি সার্ভিস এসে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে পাবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো রেজিস্ট্রেশন করার পর হয় আপনি কোন সার্ভেই পাবেন না, অথবা যেগুলো পাবেন সেগুলো শেষ করলেও আপনাকে বলা হবে যে পেমেন্ট শর্ত পূরণ হয়নি।
তখন পেমেন্ট শর্ত পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়, কারণ পর্যাপ্ত সার্ভে থাকে না।
এভাবে ২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকাম এর লোভ দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে
ছোট ছোট অংকের টাকা সংগ্রহ করা হয়। এই মডেল গুলো চেনার উপায় হল অতিরিক্ত
লোভনীয় প্রতিশ্রুতি ও স্পষ্ট কার্যপদ্ধতি এবং পেমেন্ট প্রুফ হিসেবে ভুয়া
স্ক্রিনশট ব্যবহার করা।
বৈধ প্লাটফর্মে ক্ষুদ্র ডিপোজিট করে ইনকাম
যদিও ২০ টাকায় ডিপোজিট এর মাধ্যমে ইনকাম এর নামে বেশিরভাগ প্রচারী প্রতারণামূলক। তার মধ্যেও কিছু বৈধ ও নিয়ম তান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ রয়েছে যেগুলো স্বল্প পরিমাণ টাকা জমা রেখে বা ইনভেস্ট করে কিছু আয় করা সম্ভব। এখানে মূল পার্থক্য হল এই প্লাটফর্ম গুলো কোন অলীক বা জটিলতা বিহীন আয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় না। বরং স্পষ্ট ভাবে বলে যে আয়ের পরিমাণ কম হবে, ঝুঁকি থাকবে এবং এর জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে বা অপেক্ষা করতে হবে। প্রথম উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কিছু মাইক্রো ইনভেসমেন্ট অ্যাপ এর কথা।
যেগুলোতে আপনি খুব অল্প টাকা দিয়ে শেয়ার বাজারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। তবে এগুলোতে ২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকাম গ্যারান্টিড নয়, বরং বাজার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে লাভ-ক্ষতি হতে পারে। দ্বিতীয় ধরনের বৈধ প্লাটফর্ম হল কিছু অনলাইন কোর্স বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম। যেখানে স্বল্প মূল্যে একটি কোর্সে এন্ড কোর্স করে আপনি একটি নতুন দক্ষতা শিখতে পারেন এবং পরে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ একটি গ্রাফিক ডিজাইন এর বেসিক কোর্সে ২০ টাকা দিয়ে আপনি শিখতে পারেন এবং পরে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে সেই দক্ষতাই কাজ করে আয় করতে পারেন। এখানে ২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকাম সরাসরি নয় বরং এটি একটি দক্ষতা অর্জনের বিনিয়োগ। যা দীর্ঘ মেয়াদে আয়ের পথ খুলে দেয়। এটি একটি বৈধ ও টেকসই পদ্ধতি তৃতীয় উদাহরণ হল কিছু গেমিং অ্যাপ।
যেখানে রিয়েল মানি টুর্নামেন্ট হয়। কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে একটি গেমিং টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেন এবং টুর্নামেন্টের শীর্ষ স্থান অধিকার করলে একটি পুরস্কার তহবিল থেকে টাকা জিতে নিতে পারেন। এখানে ২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকাম বিষয়টি পুরোপুরি আপনার গেমিং দক্ষতা এবং প্রতিযোগীদের ওপর নির্ভরশীল। এটি যুব নয় বরং দক্ষতা ভিত্তিক প্রতিযোগিতা। তবে এখানে অর্থ হারানো ঝুঁকি রয়েছে।
শুধুমাত্র সেইসব অ্যাপেই অংশ নেওয়া উচিত যেগুলো সরকারি রেগুলেটরি বডি দ্বারা
অনুমোদিত। বৈধ প্লাটফর্ম গুলো কখনোই একদিনে হাজার টাকা আয়ের মতো অতি লোভনীয়
প্রতিশ্রুতি দেয় না। তারা স্বচ্ছ নিয়ম কানুন ব্যবহারকারী সমর্থন এবং
যুক্তিসঙ্গত আয়ের হার প্রদান করে। ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকামের সন্ধানে থাকে এই
বৈধ প্ল্যাটফর্ম গুলোই আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
রেফারেল বা রিক্রুট ভিত্তিক স্কিম
একটি বৈধ রেফারেল প্রোগ্রাম এবং একটি স্ক্যাম রেফারেল স্কিম এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি বৈধ বা রেফারেল প্রোগ্রামে, কোম্পানি একটি বাস্তব পণ্য বা সেবা বিক্রি করে এবং আপনি যখন কাউকে সে পণ্য কিনতে রেফার করেন তখন আপনি একটি কমিশন পান। এখানে ট্রানজেকশন এর কেন্দ্রে থাকে একটি মূল্যবান পণ্য। কিন্তু ২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকামের অবৈধ স্ক্যাম এর মূল পণ্যটি হলো স্ক্যামটিতে যোগদান করা। অর্থাৎ টাকা আসে শুধুমাত্র নতুন সদস্য তাদের ২০ টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমে।
এ ধরনের স্ক্যাম চেনার প্রথম সংকেত হলো উদপাদনশীল কোনো কাজ বা পণ্যের অনুপস্থিতি যদি আপনাকে শুধুমাত্র অন্য লোককে নিয়োগ করতে বলা হয় এবং তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে বলা হয়। আর সেই টাকা থেকেই আপনাকে কমিশন দেওয়া হয়। তবে এটি একটি ক্লাসিক স্পঞ্জি স্ক্যাম এর জন্য। আপনাকে যদি কোন সত্যিকার অর্থে কাজ না করতে বলা হয়, বরং শুধু লিংক শেয়ার ও মানুষ জোগাড় করতে বলা হয়।
তাহলে এটি সন্দেহের কারণ। বৈধ ব্যবসায় আপনাকে অবশ্যই বাহ্যিক গ্রাহকদের কাছে কিছু বিক্রি করতে হবে। শুধু নেটওয়ার্কের ভিতরে টাকা চলাচল নয়, অবৈধ স্ক্যামগুলো একটি জটিল কম্পেন্সেশন প্লান উপস্থাপন কর। যেখানে আপনি কতজনকে নিয়োগ করলে তারা আবার কত জনকে নিয়োগ করলো তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে অনেক স্তরে কমিশন দেওয়ার কথা বলে।
তারা প্রায়ই চার্ট বা ডায়াগ্রাম ব্যবহার করে এই জটিল কাঠামো দেখায়, যাতে এটি বৈধ ও পরিকল্পিত দেখায়। কিন্তু মূল কথাটি থাকে অস্পষ্ট। এই টাকা আসবে কোথা থেকে যদি উত্তর হয় নতুন মেম্বারদের ডিপোজিট থেকে, তবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন এটি একটি প্রতারণা। বৈধ ব্যবসায় আয় আসে বাহ্যিক বিক্রয় থেকে, নেটওয়ার্কের সদস্যদের কাছে থেকে নয়।
সাইবার নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা
স্বল্প টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম করার মতো প্রস্তাবনা শুধু আপনার অর্থই হাতিয়ে নেয় না। পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও সাইবার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করে। যখন আপনি এই ধরনের কোন স্ক্যামে অংশ নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন, তখন আপনাকে সাধারণত আপনার মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা, এমনকি জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি বা ব্যাংক বিবরণী পর্যন্ত জমা দিতে বলা হতে পারে তা পরিচয় চুরি, ফিশিং আক্রমণ এবং অন্যান্য আর্থিক জালিয়াতির জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
তাই যে কোন প্লাটফর্মে আপনার সংবিধান হিসেবে তথ্য প্রদানের আগে তার বৈধতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। দ্বিতীয়তঃ এই স্ক্যাম গুলো প্রায়ই মেলঅয়ার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার পরিবহনের মাধ্যমে হিসেবে কাজ করতে পারে। আপনাকে হয়তো একটি বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হতে পারে, যা আপনার আয় ট্রাক করবে। এই অ্যাপটি আপনার ফোনের পারমিশন দাবি করতে পারে।
আপনার পরিচিত তালিকা পড়তে পারে। আপনার এসএমএস বা ব্যাংকিং অ্যাপের তথ্য চুরি
করতে পারে। তাই এই লোভে আপনি নিজের সমস্ত ডিজিটাল জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে
পারেন। কোন অ্যাপ ইন্সটল করার আগে গুগল প্লে স্টোরে তাদের রেটিং ও রিভিউ করুন এবং
শুধুমাত্র বিশ্বস্ত সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
আর্থিক সাক্ষরতা বা ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসির অপরিহার্যতা
২০ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকামের মতো প্রতারণার পড়া থেকে রক্ষা পেতে এবং স্বাস্থ্যকর আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে আর্থিক স্বাক্ষরতার ভূমিকা অপরিসীম। আর্থিক সাক্ষরতা হলো টাকা উপার্জন, পরিচালনা বিনিয়োগ ও দান করার বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতার সমষ্টি। যার এই সাক্ষরতা নেই তিনি সহজে কম খরচে বেশি আয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়েন। প্রথমত আর্থিক সাক্ষরতা আমাদের শেখায় যে, অর্থ উপার্জনের কোন সহজ বা জাদুকরি পদ নেই।
টাকা উপার্জনের জন্য আপনাকে হয় শ্রম মেধা বা মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকামের গল্প গুলো এই মৌলিক অর্থনৈতিক নীতি কে উপেক্ষা করে। তাই সেগুলো সন্দেহের দাবি রাখে। আর্থিক সাক্ষরতা ঝুঁকি ও পুরস্কারের সম্পর্কে বোঝাতে সহায়তা করে। একটি সচেতন ব্যক্তি জানেন যে কোন বিনিয়োগ এ রিটার্ন যত বেশি প্রকাশিত হয়, তার ঝুঁকি ও সাধারণত তত বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি অনলাইন ইনকাম সাইট
সুতরাং যখন কেউ দাবি করে যে ২০ টাকা ডিপোজিটের মাধ্যমে ইনকাম হাজার টাকায় রূপান্তরিত হবে। তখন একজন আর্থিকভাবে সচেতন ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন যে, এটি একটি অস্বাভাবিক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ প্রস্তাব যা সম্ভবত প্রতারণা। তারা ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে এবং আবেগের বদলে তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন। আর্থিক সাক্ষরতা বাজেটিং এবং আয়ের উৎসের বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারনা দেয়।
আইনে দিক ও প্রতিকার প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকুন
২০ টাকা ডিপোজিটের মাধ্যমে ইনকামের নামে যদি আপনি প্রতারিত হন বা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন, তবে আপনার জন্য আইনি প্রতিকার ও করণীয় সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আপনি যা ঘটেছে তার বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করুন। আপনার মোবাইল নম্বর থেকে পাঠানো বিকাশ, নগদ, রকেট লেনদেনের রিসিভের সাথে কথোপকথনের স্ক্রিনশট তাদের ফেসবুক প্রোফাইল বা গ্রুপের লিংক এবং যদি কোন অ্যাপ থাকে তার স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করুন।
এই প্রমান গুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দাবি তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দ্বিতীয়তঃ আপনার ব্যাংক বা মোবাইল ফাইন্যান্স সার্ভিস প্রদানকারীকে দ্রুত অবহিত করুন। যদি আপনি বিকাশ নগদ বা রকেট এর মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হেল্প লাইনে ফোন করে বা তাদের নিকটস্থ শাখায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করুন।
লেনদেনের আইডি নম্বরটি তাদের প্রদান করুন। কিছু ক্ষেত্রে যদি টাকা প্রেরক ও প্রাপক একাউন্ট এখনো সক্রিয় থাকে এবং টাকা স্থানান্তরিত হয়ে থাকে, তবে তা প্রত্যাহার করার প্রচেষ্টা করা হতে পারে, তবে সময় গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেবেন, সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। সচেতনতা তৈরি করুন এবং অন্যদের সতর্ক করুন।
বিকল্প বৈধ আয়ের টেকসই ও নিরাপদ উপায়
২০ টাকা ডিপোজিট এর মাধ্যমে ইনকাম এর অনিশ্চিত ঝুকিপূর্ণ পথের পরিবর্তে অনেকগুলো বৈধ, টেকসই ও নিরাপদ উপায় রয়েছে। যেগুলোতে স্বল্প বা শূন্য বিনিয়োগে আয় শুরু করা যায়। প্রথম এবং সবচেয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি লিখতে, ডিজাইন করতে বা কোনো বিশেষ দক্ষতায় পারদর্শী হন। তাহলে ফাইবার, আপ ওয়ার্ক বা লোকাল মার্কেট প্লেসে আপনার প্রোফাইল তৈরি করে কাজ নিতে পারেন। শুরুতে আয় কম হলেও দক্ষতা ও রিভিউ বাড়ার সাথে সাথে আয়ও বৃদ্ধি পায়।
এটি ২০ টাকা ডিপোজিট এর মাধ্যমে ইনকামের তুলনায় ধীর। কিন্তু অত্যন্ত স্থিতিশীল একটি পদ। দ্বিতীয় উপায় হল অনলাইন টিউটরিং বা কোচিং। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী অনলাইনে শিক্ষার চাহিদা ব্যাপক। আপনি যদি গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বা কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হন। তাহলে বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বা সরাসরি ভিডিও কলে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন। শুরু করতে আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন, একটি স্ট্যান্ড এবং একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
এখানে ২০ টাকার ডিপোজিট এর মত কোন ঝুঁকি নেই। বরং আপনার জ্ঞানই হলো আপনার মূলধন। ইউটিউব, ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, টিক টক বা একটু ব্লক তৈরি করে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট পোস্ট তৈরি করুন। কনটেন্ট হতে পারে রান্না, শিক্ষামূলক টিউটোরিয়াল, কমেডি বা আপনার যেকোন পেশাদার জ্ঞান। দর্শকশ্রোতা বাড়লে আপনি এডসেন্স, স্পন্সরশিপ বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। শুরুতে সময় ও শ্রম দিতে হবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি প্যাসিভ ইনকামের উৎস হতে পারে।
দায়িত্বশীল ভিত্তিক ডিজিটাল নাগরিকত্ব
২০ টাকা ডিপোজিট করে যে ইনকাম করা হয় এর মত প্রতারণামূলক স্ক্যামার বিস্তার রোধে শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়। প্রত্যেক ডিজিটাল নাগরিকেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে। প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হল সতর্ক এবং তথ্যপূর্ণ থাকা। নতুন কোন আয়ের স্কিম সম্পর্কে জানার সময় আমরা যেন কেবল লাভের দিকটি না দেখি। বরং এর সম্ভাব্য ঝুঁকি ও বৈধতা নিয়েও গবেষণা করি। ইন্টারনেটে সহজে খোঁজ নেওয়া যায় যে কোন প্লাটফর্ম বা অফার সম্পর্কে অন্যান্য ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা।
বিশ টাকা ডিপোজিট করার মাধ্যমে ইনকামের মতো বিষয় নিয়ে সন্দেহ হলে পরিবারের বড় কোন সদস্য বা বন্ধুর সাথে আলোচনা করা উচিত। দ্বিতীয় দায়িত্ব হল প্রতারনার শিকল ভাঙ্গা। আমরা যদি কোন প্রতারণামূলক গ্রুপ বা পেজে যোগ দেই এবং বুঝতে পারি যে এটি স্ক্যাম। তখন আমাদের উচিত নিঃশব্দে সেই গ্রুপ ত্যাগ করা এবং কোন ভাবেই তাদের অংশগ্রহণ না করা। শুধু তাই নয় আমাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারকে সচেতন করতে সেই গ্রুপের স্ক্রিনশট বা লিংক শেয়ার করে সতর্ক করা দরকার।নিরব দর্শক না থেকে সক্রিয়ভাবে সচেতনতা ছড়ানো দায়িত্বশীলতার নাগরিকের কর্তব্য।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম করুন নগদ পেমেন্টে
২০ টাকা ডিপোজিট এর মাধ্যমে ইনকাম এর ফাঁদে যাতে আর কেউ না পড়ে সেজন্য আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ভুয়া তথ্য শেয়ার করা বন্ধ করে দিতে হবে, অনেক সময় আমরা মজা বা অজ্ঞতা বসত কোন লোভনীয় অফারের স্ক্রিনশট শেয়ার করি যা আসলে প্রতারণা। আমাদের বুঝতে হবে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিটি শেয়ার আমাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতিফলন। তাই অবশ্যই কোন বিষয়ে শেয়ার করার আগে তার সত্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের একাউন্ট থেকে ভুয়া তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। তবে অনলাইন পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।
স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে আয় শুরু করুন
২০ টাকা ডিপোজিটের মাধ্যমে ইনকামের পেছনে একটি মূল আকর্ষণ হল মানুষের মনে এই ধারণা জন্মানো যে, অতি ক্ষুদ্র অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। এই ধারণাটি নিজে খারাপ নয়, কিন্তু সঠিক পথের প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক বিনিয়োগের প্রথম নীতি হলো শিক্ষার বিনিয়োগ। আপনার প্রথম ২০ ৫০ বা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করা উচিত। আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে একটি অর্থকরী দক্ষতা শেখার জন্য একটি কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। অথবা একটি ভালো বই কিনতে পারেন। এটি হবে দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দেওয়া বিনিয়োগ।
20 টাকা ডিপোজিট এর মাধ্যমে ইনকামের পদে ২০ টাকা খরচ করে জ্ঞান অর্জন অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। দ্বিতীয় নীতি হল বিভিন্ন কারণ এ আপনি যদি সত্যিই আর্থিক বিনিয়োগ শুরু করতে চান, তবে শুধুমাত্র একটি জায়গায় ঢেলে দেবেন না। যা ২০ টাকায় ডিপোজিটের মাধ্যমে ইনকামের স্কিমগুলো করতে বলে। বরং আপনার অল্প সঞ্চয়কে বিভিন্ন খাতে বিভক্ত করুন। একটি অংশ জরুরি তহবিল হিসেবে রাখুন।
একটি অংশ আপনার শিক্ষা বা সরঞ্জাম ব্যয় করুন এবং যদি বিনিয়োগ করতে চান তবে সরকারি সঞ্চয়পত্র, মাইক্রো সেভিংস একাউন্ট বা পরিচিত কোন প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেল বেছে নিন। যেখানে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রিত এবং আইনি সুরক্ষা রয়েছে। ২০ টাকা ডিপোজিট এর মাধ্যমে ইনকামের স্কিম গুলো অতি দ্রুত আয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। যা সাধারণত টেকসই হয় না।
প্রকৃত অর্থের সম্পদ গড়ে তুলতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। যারা মাসের পর মাস বছরে পর
বছর নিয়মিত অল্প অল্প সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করে, তারাই শেষ পর্যন্ত আর্থিক
স্বাধীনতা লাভ করে। একটি ক্ষুদ্র বিনিয়োগের প্ল্যান তৈরি করুন। যা আপনি দীর্ঘ
সময় ধরে চালিয়ে যেতে পারবেন। প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে একটি ছোট অংক জমা করার
অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শেষ কথাঃ ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকা প্রলোভনময় জগতে প্রবেশের আগে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে, আমরা কোন পদ বেছে নিচ্ছি। এই দীর্ঘ আলোচনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে রাতারাতি ধনী হওয়ার কোন সহজ ফর্মুলা নেই। যারা এই ধরনের স্কিমের প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা মূলত আমাদের আর্থিক দুর্বলতা ও আসার সুযোগ নেয়। প্রকৃত সফলতা আসে ধারাবাহিক পরিশ্রম, দক্ষতা উন্নয়ন, সৎ উদ্দেশ্য এবং বুদ্ধিমত্তা পূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে। আমরা যদি আমাদের মূল্যবান সময় ও অল্প সঞ্চয়কে একটি প্রতারণামূলক চক্র বিনিয়োগ করি, তবে আমরা শুধু ক্ষতি করব না।
আমাদের আত্মবিশ্বাস ও আশাকেও ধ্বংস করব। তাই মনে রাখা দরকার যে, আর্থিক সাফল্যের
চেয়েও মূল্যবান হলো আমাদের সততার শান্তি ও নিরাপত্তা। বিশ টাকা ডিপোজিটের
মাধ্যমে ইনকামের অনিশ্চিত অন্ধকার পথে হাঁটার চেয়ে, বৈধ উজ্জ্বল পথে হাঁটতে
হাঁটতে সামনে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। আসুন আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই যে, কখনোই
স্বল্পমেয়াদি লোভের কাছে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী স্বপ্ন ও মূল্যবোধকে বিসর্জন দেব
না। আমাদের বুদ্ধিমত্তা পরিশ্রম ও সততাই হবে আমাদের প্রকৃত সম্পদ সফলতার
চাবিকাঠি।



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url