এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক আপনি কি এলার্জিতে নিমপাতা ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার জন্য। আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে নিমপাতা সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন।

    পেজ সূচিপত্র:এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

    এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহারঃ 

    বর্তমানে এলার্জি নামক এই অসহ্য যন্ত্রনাটি একটি সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ধুলাবালি, নির্দিষ্ট কিছু খাবার, ঋতু পরিবর্তন ইত্যাদি নানাবিধ কারণ এলার্জির মূল উৎস। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে আমরা অনেক সময় ব্যয়বহুল এলোপ্যাথিক চিকিৎসার দ্বারস্থ হই। যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক সময় নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে। কিন্তু আমাদের আশেপাশেই লুকিয়ে আছে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এক অসাধারণ সমাধান।

     যা শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে এবং তার কার্যকারিতা প্রমাণ করছে। এটি হলো নিম পাতা। একেবারে সস্তা সহজলভ্য এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন এই উপাদানটি এলার্জি মোকাবেলায় হতে পারে আপনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী। প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এই নিম পাতা এলার্জি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

     নিমপাতায় থাকা বায়ো একটিভ উপাদান অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার ভেতরে লুকিয়ে আছে  এক শক্তিশালী রাসায়নিক  জগৎ। এতে রয়েছে অ্যান্টিহিস্টামিন ,এন্টি ইনফ্লামেটেরি , অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গালের গুণাবলী। এলার্জির মূল কারণ হলো হিস্টামিন নামক একটি উপাদান। আমাদের শরীর যখন কোন ধুলাবালির সংস্পর্শে আসে।

     তখন হিস্টামিন নিঃসরণ করে ।যার ফলে চুলকানি, লাল দাগ,ফোলা ভাব, হাঁচির মত বিভিন্ন লক্ষণগুলো দেখা দেয়। নিম পাতা প্রাকৃতিকভাবে হিস্টামিন নিঃসরণকে বাধা দেয় ফলে এলার্জি প্রতিক্রিয়া দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।



    কিভাবে নিমপাতা  ব্যবহার করবেন?

    নিম পাতাকে আমরা নানাভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের  রুটিনে যুক্ত করতে পারিঃ

    1.  নিম পাতার পেস্টঃ এক মুঠো তাজা নিমপাতা ভালো করে বেটে পেস্ট করে নিন। এর সাথে এক চিমটি কাঁচা হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য পরিমাণ পানি মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি এলার্জির কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি, লাল দাগ বা চুলকানির জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ।শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এর ফলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ফোলা ভাব কমে যাবে।
    2. নিম পাতার পানিঃ কিছুটা তাজা নিম পাতা পরিষ্কার করে এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। পানিটি ঠান্ডা হলে এটি দিয়ে আক্রান্ত জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এটি সমস্ত শরীরে চুলকানি ও অস্বস্তিকর কমাতে সাহায্য করে।
    3. নিম পাতার চাঃ হজমজনিত বা শ্বাসকষ্ট জনিত এলার্জির ক্ষেত্রে নিম পাতার চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই পানি ছাকিয়ে নিয়ে সামান্য পরিমাণে মধু অথবা চিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
    4. নিম পাতার পাউডারঃ যদি তাজা নিমপাতা না পান, তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে নিম পাতার গুড়ো ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে আধা  চামচ  অথবা এক চামচ নিম  পাতার গুঁড়ো  মিশিয়ে পান করুন।




    শেষ কথাঃ

    এলার্জি আপনাকে দুর্বল অসহায় বোধ করাতে পারলেও, প্রাকৃতিকভাবে কিন্তু আমাদের জন্য রেখেছে তার অমূল্য ভান্ডার।। নিমপাতা তার মধ্যে একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এই সহজলভ্য , সাশ্রয়ী ও কার্যকারী প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনার জীবনের অংশ করে তুলুন এবং এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করুন। তবে মনে রাখবেন তীব্র অথবা করা এলার্জির ক্ষেত্রে সবসময় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন সুস্থ থাকুন।




    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    আপনি গিগস্পারকলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url